ভূস্বর্গখ্যাত কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের তিক্ত সম্পর্কের ইতিহাস বহু পুরনো। সেই তিক্ততার ছায়া পড়েছে দুই দেশের ক্রিকেটীয় সম্পর্কেও। এখন আর নিয়মিত দেখা মেলে না ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের। দ্বৈরথের অপেক্ষায় থাকতে হয় আইসিসি বা এসিসির কোনো ইভেন্টের জন্য।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশ দুটির পুরোনো বৈরিতি নতুন মাত্রা পেয়েছে। গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামের বিসরণ উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হন ২৬ জন পর্যটক। এই হামলার জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করছে ভারত।
এর পরপরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্নের মতো নানা পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দিল্লি। জবাবে পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইসলামাবাদও। এ ঘটনায় ক্রিকেট অঙ্গনও চুপ নেই। বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি এ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলি বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে শতভাগ সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রতি বছর এমন ঘটনা ঘটছে, এটি কোনো হাস্যরসের বিষয় নয়। সন্ত্রাসবাদ বরদাস্ত করা হবে না।
তবে সৌরভ সরাসরি ক্রিকেটীয় সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে তার মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নিয়েও নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত। ইতিমধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, ভবিষ্যতে কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানকে একই গ্রুপে না রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে বিসিসিআই।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিসিসিআই আইসিসি ও এসিসির কাছে চিঠি পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে, যাতে বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান এক গ্রুপে না পড়ে।
এদিকে বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা মেনেই সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শে নেওয়া হয়েছে। এবার আইসিসির প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ হবে কি না, তা নির্ভর করবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ওপর। পরিস্থিতি সম্পর্কে আইসিসি ভালো করেই জানে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।